শাবাশ্ শিবির ২০২৫
Date: May 14, 2025

১৪ - ১৭ মে, ২০২৫
চটকপুর,দার্জিলিং-এ কৃষ্ণনগর অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রথম শাবাশ্ শিবির ২০২৫
শাবাশ্ শিবিরে শিশুদের দক্ষতার় চর্চা:
———————————————
ট্রেকিং এবং ক্যাম্পিং দক্ষতা:
———————————————
শাবাশ্ শিবির হলো আনন্দ, মজা, অ্যাডভেঞ্চার এবং শিখনের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ। এখানে শিশুরা ট্রেকিং, ক্যাম্পিং এবং বন্য অঞ্চলে টিকে থাকার প্রাথমিক বিষয়গুলির সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে পরিচিত হয়।
* সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে একটি আশ্রয় গড়ে তোলা
* মক ড্রিলের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা শেখা
* মানচিত্র এবং GPS সরঞ্জাম ব্যবহার করে ন্যাভিগেশন দক্ষতা অর্জন
* বাইরে ক্যাম্পসাইট চিহ্নিত করা এবং সেটআপ করার দক্ষতা
* জঙ্গলে রান্না করতে শেখা
* জলের স্রোত পার করার পদ্ধতি শেখা
———————————————
প্রকৃতি সম্পর্কিত দক্ষতা
———————————————
শিশুরা দেশের অন্যতম সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের কেন্দ্রে অবস্থান করার কারণে, তারা সরাসরি জঙ্গল, উদ্ভিদ, পাখির জীবন, প্রাণী এবং প্রাকৃতিক উপাদান সম্পর্কে শিখতে পারে।
* হিমালয়ের জঙ্গলের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য দেখা ও অনুভব করা
* অঞ্চলের স্থানীয় ও বিরল পাখি এবং প্রাণীদের সম্পর্কে শেখা
* বাস্তবে তারায় ভরা আকাশ ও মিল্কিওয়ে দেখা এবং হাতে-কলমে আকাশ দেখতে শেখা ও টেলিস্কোপের সাহায্যে তারা চেনা
* প্রকৃতি সংক্রান্ত জার্নালিং ও ফিল্ড্ নোট নিতে শেখা
* জঙ্গলে থাকার অভিজ্ঞতা অর্জন
* কাছ থেকে সুউচ্চ হিমালয় পর্বতমালা দেখা এবং তাদের সংযুক্ত গল্পগুলো জানা
* সৃজনশীল লিখন দক্ষতা অর্জন
* চিত্রের মাধ্যমে ক্যানভাসে প্রকৃতিকে ধরা
* ফটোগ্রাফী সহজপাঠ
* অরিগ্যামির মজা
* গান নাচ কবিতার আসর
* ক্যাম্প ফায়ারের আনন্দ
———————————————
স্থিতিশীল এবং দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন সম্পর্কিত দক্ষতা
———————————————
আমরা কীভাবে ট্রেক করি এবং প্রকৃতিকে কিভাবে যত্ন সহকারে ব্যবহার করি, সে সম্পর্কে খুবই সচেতন। আমরা বিশ্বাস করি ট্রেকিংয়ের একটি স্থিতিশীল পন্থা আছে। সবুজ বনানীর মধ্যে দিয়ে ট্রেক করার সময় প্রকৃতিকে ন্যূনতম ব্যবহারের পদ্ধতিই শিশুদের শেখানো হয় এবং এটি শিশুদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
* গ্রামাঞ্চলের জীবনযাত্রা অন্বেষণ করে ন্যূনতম জীবনযাত্রার পদ্ধতি শেখা
* ট্রেকিং পথ পরিষ্কার রাখা এবং পর্বতগুলিকে সুন্দর রাখা
* প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের গুরুত্ব বোঝা
* বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মৌলিক বিষয়গুলি শেখা - বর্জ্য আলাদা করা ও কম্পোস্ট করা
* জঙ্গলে কম্পোস্টিং টয়লেট বানানোর পদ্ধতি বোঝা
———————————————
জীবন ও আচরণ সংক্রান্ত দক্ষতা
———————————————
শাবাশ্ শিবিরের বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে অমূল্য ব্যক্তিগত আচরণ ও দক্ষতা বিকশিত হয়। শিবিরের এই মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা শিশুদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখতে পাই। শিশুরা এমন জীবন দক্ষতা প্রদর্শন করতে শুরু করে যা এই আবহ ছাড়া সাধারণতঃ বিকাশ করতে অনেক সময় লাগে। অনেক ক্ষেত্রেই নির্জন প্রকৃতির কোল ছাড়া বাড়ির পরিবেশে থেকে এই সর্বাঙ্গীন বিকাশ সম্ভবও হয় না।
* কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সারাজীবনের জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জন
* কষ্টের সঙ্গে পরিচিত হওয়া
* সমস্যাগুলি অতিক্রম করার মাধ্যমে স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলা
* একটি দলের সাথে মিলিতভাবে কাজ করার পদ্ধতি শেখা
* দায়িত্ব গ্রহণ এবং ভাগ করে নেওয়ার অভ্যাস শেখা
* যুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন মতের মধ্যে থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাস্থ্যকর অভ্যাস এবং সমস্যার সাথে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় এবং তা সমাধান করা শেখা
* পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ও যোগাযোগ দক্ষতা শেখা
আসন সংখ্যা সীমিত
স্বত্বর যোগাযোগ করুন নীচের যেকোনো নম্বরে ফোন করে বা হোয়াটস্ অ্যাপের মাধ্যমে।
মিঠুন: +91 9007986770
মুরারি: +91 6290123150
পুষ্পেন্দু: +91 9333380006
কোর্স ফি:
7000 টাকা [ নাবালক ]
8000 টাকা [ প্রাপ্তবয়স্ক ]
শিলিগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত
থাকার ব্যবস্থা: হোমস্টে শেয়ারিং বেসিস।
চটকপুর:
চটকপুর দার্জিলিং-এর কাছে অবস্থিত একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক স্বর্গসম স্থান। এটি পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭,৮৮৭ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। দার্জিলিং শহর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে, এই নির্জন গ্রামটি সিঞ্চল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের অংশ, যেখানে ঘন সবুজ অরণ্য, সুউচ্চ পাহাড়, আর অনবদ্য কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য এক অনির্বচনীয় সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। এখানে চারপাশে শাল, ওক ও রডোডেনড্রনের বন বিস্তৃত, যা বহু বিরল পাখির আবাসস্থল। শান্ত পরিবেশ, নির্মল বাতাস ও পাহাড়ি পথ ধরে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা চটকপুরকে প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যেতে চাওয়া পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় গন্তব্য করে তুলেছে।
শাবাশ্ শিবির কি সামার ক্যাম্প ?
ক্যাম্পের বাংলা তো শিবির কিন্তু সামার তো আর শাবাশ্ নয় ! গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে বিভিন্ন ভাষায় খুব প্রচলিত শব্দ এই "শাবাশ্"। মূল ফারসি শব্দ "শাবাশ্" অর্থ ধন্য, বলিহারি ইত্যাদি অব্যয় পদ। ইংরেজিতে যাদের আমরা প্রকাশ করি Bravo, Kudos ইত্যাদি শব্দের মাধ্যমে। এত উৎস সন্ধান না করলেও কচিকাঁচাদের খুব ভালো পারফরম্যান্স বোঝাতে বা উৎসাহ দিতে যে শব্দবন্ধটি আপামর ভারতবাসী সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে সেটি হলো - "শাবাশ্ বেটা"।
"শাবাশ্ শিবির" - হলো আত্মবিশ্বাসের উদযাপন।
* চার দেওয়ালের পরিচিত পরিবেশের বাইরে প্রকৃতির কোলে প্রতিনিয়ত প্রকৃত অর্থেই সাবালক হয়ে ওঠার মঞ্চই হলো "শাবাশ্ শিবির"।
* উৎসাহ আর উদ্যম সঙ্গী করে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অভিযোজনই "শাবাশ্ শিবির"।
* প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ গ্রহণ করে অভিযাত্রিক মনের চিরন্তন অন্বেষণ ও তার অভিব্যক্তিই "শাবাশ্ শিবির"।
* সাধারণ সামার ক্যাম্পে যেখানে কেবল শারীরিক সক্ষমতা ও নিয়মানুবর্তিতার কঠিন পাঠ দেওয়া হয়, সেখানেই শিশু-কিশোর মনের স্বাভাবিক অনুসন্ধিৎসা ও আত্মনির্ভরশীলতায় উৎসাহদানের এক অনন্য আয়োজন "শাবাশ্ শিবির"।
যে শিবিরে শোনা যায় শুধু একটাই রব - "শাবাশ্ বেটা"।
মিঠুন সর্দার
সম্পাদক,
কৃষ্ণনগর অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন